
ময়মনসিংহের ত্রিশালের সরকারি নজরুল একাডেমি মাঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হয়েছেন ২২ বছর বয়সী মুনতাসির ফাহিম। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু অহিদুল ইসলাম (২২) এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাহিম ত্রিশাল ইউনিয়নের চিকনা মনোহর গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে। আর অভিযুক্ত অহিদুল ইসলাম ত্রিশাল পৌরসভার দরিরামপুর এলাকার জহিরুল ইসলামের সন্তান।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন ফাহিম। চার মাস আগে দেশে ফেরেন এবং আসন্ন শনিবার তাঁর পুনরায় মালয়েশিয়া ফেরার কথা ছিল। ২৫ ডিসেম্বর থেকে তাঁর নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হওয়ার সময় নির্ধারিত ছিল।
পুলিশ জানায়, রাত প্রায় নয়টার দিকে ‘চায়নিজ কুড়াল’ হাতে থানায় গিয়ে অহিদুল ইসলাম দাবি করেন, “ফাহিম আমার জীবন নষ্ট করেছে, তাই তাকে কুপিয়ে মেরেছি।” তাঁর কথায় সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাঁকে আটক করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ সরকারি নজরুল একাডেমি স্কুল মাঠের পূর্ব পাশে পানির ট্যাংকের পাশে ফাহিমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এবং সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের বাবা রেজাউল ইসলাম বলেন, “আমার ছেলেকে কেন হত্যা করা হলো, তা বুঝতে পারছি না। কী এমন ক্ষোভ ছিল? আমার ছেলে তো দেশেই বেশি থাকত না। ওকে এভাবে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হলো কেন?”
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ জানান, ফাহিম ও অহিদুল ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। হত্যার পর অহিদুল থানায় এসে দাবি করেন, তাঁর জীবন নষ্ট করা হয়েছে বলেই তিনি ফাহিমকে হত্যা করেছেন। এ ছাড়া তিনি আর কিছু জানাননি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক অহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা চলছে এবং আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন