বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ধর্মীয় উগ্রবাদ সাংস্কৃতিক স্থিতিশীলতার জন্য গভীর হুমকি
ধর্মীয় উগ্রবাদ বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্থিতিশীলতার জন্য গভীর হুমকি। গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে আজ পর্যন্ত মাজারে হামলা, ভাস্কর্য ভাঙ্গা, বাউলদের উপর হামলা, সংগীত বন্ধ করা, নারী ফুটবল খেলা নিষেধ করা ও সব ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আক্রমণ, ভাঙচুর ও সামাজিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে আসছে তৌহিদী জনতা নামে একটি গোষ্ঠী। অথচ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনা ছিল- তথাকথতি স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান, সমাজ ও রাষ্ট্রের বৈষম্য নিরসন, ভোটাধিকারের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি, ঘুষ, চাঁদা, হত্যা-খুন-ধর্ষণ মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি করা। রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান অভিযোগ করেন, সরকারের নিষ্ক্রিয়তা চরমপন্থার বিকাশের সুযোগ দিয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে দায় বর্তাবে বর্তমান সরকারের ওপর। সত্যিকার তৌহিদী জনতা সহিংসতার পক্ষ নেয় না; তাই যারা হামলা চালাচ্ছে, তারা ধর্মের অপব্যবহারকারী রাজনৈতিক শক্তি। বাউল আবুল সরকারের জামিন শুনানির দিন আদালতপাড়ায় সমর্থকদের ওপর হামলাকে তিনি ‘পরিকল্পিত প্রদর্শনী’ হিসেবে বর্ণনা করেন। পুকুরে ফেলা, পিটিয়ে জখম করা ও সহিংস শ্লোগান প্রদর্শনের মাধ্যমে এই গোষ্ঠী তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও চরিত্র প্রকাশ করছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে উগ্রবাদী শক্তি ও ধর্মীয় উন্মাদনার উদ্ভব নতুন বিষয় নয়। স্বাধীনতার পর থেকে সমাজ নানা সময়েই রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উন্মাদনার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলাম দাবি তোলে যে, তৌহিদী জনতার ওপর নির্যাতন বন্ধ করা হোক। এরপর তাদের কর্মকান্ড ধর্ম, সামাজিক নিয়মকানুন এবং রাজনৈতিক প্রভাব একত্রিত হয়ে নতুন অস্থিতিশীলতা তৈরি করেছে। তৌহিদী জনতা কেবল ধর্মীয় আন্দোলন নয়, বরং সামাজিক নিয়ন্ত্রণ এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকেই লক্ষ্য করে। ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে কাবা শরীফের বিকৃত ছবি ফেসবুকে শেয়ারকারীর শাস্তির দাবিতে পদযাত্রা এবং পুলিশের উপর হামলা এ বিষয় প্রমাণ করেছে। একই বছর ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে থেমিসের সাদৃশ্যযুক্ত ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে উগ্রধর্মীয় দলগুলো। ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্য অপসারণ করা হয়, যা প্রমাণ করে যে উগ্রধর্মীয় আন্দোলন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নীতিকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়। ২০ অক্টোবর ২০১৯ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিনে স্থানীয় এক হিন্দু যুবকের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও পুলিশের ওপর হামলা হয়। সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়। ২০২০ সালে ঢাকার ধোলাইরপাড় চত্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে তারা। ২০২১ সালে কুমিল্লার পূজামন্ডপে কুরআন পাওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে সহিংসতা ছড়ায়। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দু মন্দিরে পাথর নিক্ষেপ; পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে, ৪ নিহত ও ৫০ আহত হয়। একই ঘটনায় বান্দরবানের লামায় হিন্দু মন্দির ও বাজারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট সংগঠিত হয়। ২০২৪ সালে চট্টগ্রামের স্টেশন সড়কের শোরুম উদ্বোধনে বাধা, সিলেটের শাহ সুফি আবদুল কাইউম চিশতিয়ার মাজারে হামলা, ময়মনসিংহ দেওয়ানবাগ পীরের দরবারে হামলা, শেরপুর, শরীয়তপুরসহ সারাদেশে শত শত মাজারে হামলার ঘটনা ঘটে। ভারত সমর্থনের অভিযোগে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে। মহতি সাধুসঙ্গ ও লালন মেলা বন্ধ; নারায়ণগঞ্জে সুফি সাধক শাহ্ সোলায়মান লেংটার উরস ও মেলা বাধাগ্রস্ত করে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে সিলেটে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করে। ২৮ জানুয়ারি জয়পুরহাট ও দিনাজপুরে নারী ফুটবল ও ক্রীড়া কার্যক্রমে বাধা দেয়, সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বাড়ি ভেঙে ফেলায় তারা সক্রিয় নেতৃত্ব দেয়। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, কুষ্টিয়া, নাটোর ও পিরোজপুরসহ বিভিন্ন শহরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা, আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে; এক্ষেত্রে তাদেরকে দেখা যায়। এই সহিংসতা প্রসঙ্গে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছিলেন, ‘সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বাড়ি, চিহ্ন, প্রতীক ভেঙে রাগ দেখানো যায়, কিন্তু ফ্যাসিবাদ যায় না, বরং ফ্যাসিবাদের পুনরুৎপাদন হয়।’ ২০২৫ এর ২০ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর শাহ সুফি আইয়ুব আলী দরবেশের মাজারে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে তৌহিদী জনতা বিক্ষোভ মিছিল করে। ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় ওরস আয়োজন ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের ভালোবাসা দিবস উদযাপনে ভাঙচুর করে, যে কারণে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর বসন্তবরণ স্থগিত করা হয়। ৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযুক্তের মুক্তির দাবিতে তৌহিদী জনতার চাপ প্রয়োগ এবং মুক্তির পরে মালা দিয়ে বরণ। মাজার ভাঙার ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের দেওয়ানবাগ মাজারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সোনারগাঁর আয়নাল শাহ দরগা ভাঙা, সিলেটের শাহপরাণ মাজারে গান-বাজনা বাতিল ঘোষণা করে। ঝালকাঠির রাজাপুরে ১৫ জুলাই ২০২৫ মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ভেঙে কোরআনের ভাস্কর্য স্থাপন; এলাকায় ‘কোরআন চত্বর’ ঘোষণা করে। ঢাকায় ‘মঞ্চ ৭১’ আয়োজিত ‘মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বাংলাদেশের সংবিধান’ আলোচনায় হামলার শিকারদের আটক করে পুলিশ; আর হামলাকারীরা বীরদর্পে মুক্ত থাকে। এইসব কারণে বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবস, ঘুড়ি উৎসব, মেলার সব অনুষ্ঠান বাতিল বা স্থগিত করেছে উদ্যোক্তরা। হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং সাংস্কৃতিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক অনুষ্ঠান বন্ধ করা নাগরিক অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য সরাসরি হুমকি। তৌহিদী জনতার সহিংসতা নারীর শিক্ষা, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, উৎসব ও ইতিহাস-বিষয়ক আলোচনার সব ক্ষেত্রেই ভয় ও চাপ বাড়াচ্ছে। শিশু, কিশোর ও তরুণ প্রজন্মের সামাজিক বিকাশ ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এটি ক্ষতিকর। দায়িত্বশীল সরকারের মৌলিক কর্তব্য হলো নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং উগ্রবাদ প্রতিরোধ করা। পুলিশি পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়; রাজনৈতিক স্থিরতা, আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ, শিক্ষা ব্যবস্থায় সহনশীলতার চর্চা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য প্রতিরোধ এবং ধর্মীয় সংলাপের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগ জরুরি। বাংলাদেশের বহুজাতিক, বহুধর্মীয় সামাজিক কাঠামো রক্ষার জন্য সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা, হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি, নারীর অধিকার ও শিশুর নিরাপত্তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। মব ভায়োলেন্স, উগ্রবাদী আচরণ ও ইতিহাস বিকৃতির প্রবণতা প্রতিহত করতে রাষ্ট্রকে আইনগত, প্রশাসনিক ও সামাজিকভাবে সক্রিয় হতে হবে। গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও স্থানীয় নেতৃত্বের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি রাষ্ট্রপতি হতে পারেন, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান কিংবা সচিব- তাতে কিছু আসে যায় না, আপনার ভিতরে যদি দায়িত্ববোধ, মানবিকতা, নৈতিকতা ও মনুষ্যত্ব না থাকে এবং আপনার সিদ্ধান্তের ফলে যদি জনগণের জানমাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে সেই দায় আপনার। আপনি শিক্ষক, সাংবাদিক, শিল্পী কিংবা দার্শনিক- আপনার সামাজিক অবস্থান বা পরিচয় যতই উঁচু হোক না কেন, যদি মনুষ্যত্ববোধ ও ন্যায়বোধ না থাকে, তবে আপনি সমাজের জন্য কোনো কাজের না। দেশে পূর্বের তুলনায় বর্তমানে খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, দুর্নীতি ও সহিংসতার মাত্রা বেড়েছে। গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে একটি ‘মব-সংস্কৃতি’ গড়ে উঠেছে, যা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, মাজারে হামলা, বিরোধী মত ও গণতান্ত্রিক কণ্ঠস্বর দমনে সহিংসতাকে উৎসাহিত করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শ্রমিক, শিক্ষক ও ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন দমনেও সহিংসতা ব্যবহার করা হয়েছে। কিশোর গ্যাং একের পর এক অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অদক্ষতা ও সরকারের দুর্বল নেতৃত্বে অপরাধীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়া, কালোবাজারি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য সাধারণ মানুষকে আরও বিপন্ন করে তুলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে। এসব ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা জনগণের ভেতরে গভীর হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে। সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, নারীর প্রতি অবমাননাকর দৃষ্টিভঙ্গি, লিঙ্গ বৈষম্য এবং ঘৃণার রাজনীতি সমাজে বিকৃত মানসিকতার অপরাধী তৈরি করে। মানসিক স্বাস্থ্যের অবহেলা অপরাধ প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। অপরাধকে ‘ট্রেন্ড’ হিসেবে দেখা এবং অসৎ জীবনযাপনের প্রতি সামাজিক সহানুভূতি একটি বিপজ্জনক সংস্কৃতি তৈরি করছে। ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছয় মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখায়নি। মাজারে হামলা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, হত্যা, খুন এবং ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এসব ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অদক্ষতা এবং সরকারের দুর্বল নেতৃত্বই মূল কারণ, যার ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। আগস্ট ২০২৪-এর পর এই ধরনের প্রবণতার বৃদ্ধির পেছনে রাজনৈতিক ও সামাজিক তিনটি প্রেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ: ক্ষমতার শূন্যতা ও প্রশাসনিক দুর্বলতা, ধর্মভিত্তিক দলগুলোর পুনঃসক্রিয়তা, এবং সোশ্যাল মিডিয়া-ভিত্তিক প্রচারণা ও উসকানি। হামলায় জড়িতরা স্থানীয় ইসলামপন্থি গোষ্ঠী, কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনের সদস্য, ধর্মভিত্তিক ছাত্র ও যুব সংগঠন, রাজনৈতিক ইসলামি দলের স্থানীয় ইউনিট এবং কিছু মসজিদভিত্তিক উপগোষ্ঠী। ‘মব ম্যানেজার’ হিসেবে পরিচিত কিছু ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়া ও মসজিদের মাধ্যমে জনতাকে সংগঠিত করে। তাদের উদ্দেশ্য ধর্মীয় নিয়ন্ত্রণ, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি। নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থতার কারণ: প্রশাসনিক নির্দেশনার অস্পষ্টতা, গোয়েন্দা নজরদারির অভাব, দুর্বল গ্রেপ্তার ও আইনি প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক নরম অবস্থান, সামাজিক প্রতিক্রিয়ার অবমূল্যায়ন। যদি এই প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ না হয়, নারীর অধিকার ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ওপর চাপ বাড়বে, সমাজে উগ্রতার প্রতি সহনশীলতা তৈরি হবে, স্থানীয় প্রশাসন দুর্বল হবে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা ও সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এবং আরো হবে। তৌহিদী জনতার কর্মকান্ড ও সহিংসতা, ভাঙচুর ও বিক্ষোভ দেশের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। বর্তমানে দেশে অপরাধ দমনে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। একইসাথে, সরকারের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল, স্থানীয় সম্প্রদায় ও গণমাধ্যমকে নিয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। গ্রাম, শহর ও পাড়া-মহল্লায় জনসচেতনতা বাড়ানো, অপরাধ প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখা এবং গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য প্রয়োজন অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণ করা। লেখক : গবেষক ও রাজনৈতিক কলাম লেখক [email protected]
এক অশনি সংকেত / বাংলাদেশ ভ্রমণ নিয়ে ভয়

এক অশনি সংকেত / বাংলাদেশ ভ্রমণ নিয়ে ভয়

এ দেশের মানুষ আশাভঙ্গের বেদনায় নীরবে কাঁদে

  • সর্বশেষ
  • দিনের সেরা
  • সপ্তাহের সেরা